দাম নেই ফসলের , রাস্তায় আলু ফেলে রাস্তা অবরোধ বিজেপির

3rd February 2021 1:01 pm বাঁকুড়া
দাম নেই ফসলের , রাস্তায় আলু ফেলে রাস্তা অবরোধ বিজেপির


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যাহ্য মূল্যের দাবিতে রাস্তার উপর আলু ফেলে পথ অবরোধ করলেন বিজেপি কর্মীরা। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর-জয়পুর রাজ্য সড়কের উপর হাঁড়িঘাটের ঘটনা। বুধবার দিনের ব্যস্ততম সময়ে এই রাজ্য সড়কের উপর বিজেপি কর্মীদের অবরোধে আটকে পড়ে অসংখ্য যাত্রী ও পণ্যবাহি যানবাহন। এমনকি দুগ্ধবাহি একটি গাড়িও দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ে। সমস্যায় পড়েন অসংখ্য মানুষ।

বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের নীতিহীনতার কারণে কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের দাম পাচ্ছেন। নতুন আলু বাজারে আসার সাথে সাথেই এক ধাক্কায় দাম অনেকটাই কমে গেছে। ফলে চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন একটা বড় অংশের কৃষিজীবি মানুষ। 

বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অশোক কুমার ডাকুয়া বলেন, এলাকার কৃষক সমাজ ফসলের ন্যাহ্য মূল্যের দাবীতে পথ অবরোধ করেছিলেন। আমরা সেই কর্মসূচীকে পূর্ণ সমর্থণ জানিয়েছি। আমরা চাই 'ফড়েরাজ' বন্ধ হয়ে কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের দাম পাক। আর সেই দাবিকে রাজ্য সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে তারা উদ্যোগী হয়েছেন বলে তিনি জানান। 

রাজনৈতিক দল গুলির কৃষকদরদি এই আন্দোলনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঐ এলাকার চাষীদের একাংশ। জমি থেকে আলু তোলার ফাঁকে বাপন দাস বলেন, আলু চাষে বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে এখন আমরা সেই আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি ৪ টাকা ৩৫ পয়সা। এখন মহাজনের ঋণশোধ আর দৈনন্দিন সংসার খরচ কিভাবে চলবে? ভোট হলেই রাজনৈতিক দল গুলি কৃষক দরদি সাজার চেষ্টা করছে। কিন্তু আজো কেউ কৃষকদের নিয়ে সদর্থক চিন্তাভাবনা করেনি বলে তিনি দাবি করেন ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।